লকডাউন চলাকালীন অনলাইন ক্লাস ও লকডাউন শেষে একের পর এক পরীক্ষা : উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ




স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে অন-লাইন ক্লাস চালু ও লকডাউন শেষে একের পর এক পরীক্ষা শুরুর তাগিদ উপাচার্যের। নভেল করােনাভাইরাসের কারনে দেশের সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সব কলেজকে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে আহবান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উক্ত সভার সিদ্ধান্তের আলােকে লকডাউন চলাকালীন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেলে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অধিভুক্ত প্রায় ২২৬০ টি কলেজ/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। নির্দেশনাসমূহ নিম্নরুপঃ

• যে সব কলেজের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে তারা জরুরি ভিত্তিতে অন-লাইন ক্লাস চালু করবে। যেসব কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন-লাইন ক্লাস সুবিধা নেই, তাদেরকেও দ্রুত এই সুবিধার আওতায় আসতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরী করা মােবাইল এ্যাপস কিংবা জুম সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অন-লাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। ইতােমধ্যে রাজশাহী কলেজ সহ বেশ কয়েকটি কলেজ/প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠান অন-লাইন ক্লাস আরম্ভ করে দিয়েছে।

• কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ সমূহে কোনাে সেশনজট ছিল না। সেই ধারাবাহিকতা বহাল রাখতে লকডাউন শেষে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নিমিত্তে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ঘরে বসে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হচ্ছে। ই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর আমরা যেন একের পর এক পরীক্ষা নিতে পারি তার সকল প্রস্তুতি কলেজ ও শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সেশনজট নিরসনে আগে যেমন আমরা ক্রাশ প্রোগ্রামে করে সফল হয়েছি। সেই রকম মেথড এখানেও এপ্লাই করতে হবে।


আরো পড়ুন- পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার পরীক্ষা হবে। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে মানুষের মাঝে নানা ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশের এমন পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থা সহ সকল ধরনের কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে। করোনার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে। যাদের এ সুবিধা নেই তাদেরকে দ্রুত ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আর যাদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সুবিধা আছে, তাদের অবিলম্বে সে প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে।


Comments

Popular posts from this blog

কুষ্টিয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক সভাপতি রক্তাক্ত

ইজরাইলি পতাকার অর্থ কি?