ডক্টর এ পি জে আবদুল কালাম-এর সম্বন্ধে কতটা জানি ? দৈনিক নব দিগন্ত


আবদুল কালাম ছিলেন ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি। তৎকালীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার তার নাম রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রস্তাব করলে জাতীয় কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টিসহ অনেক দলই তা একযোগে মেনে নেয়। তিনি পেশাগত দিক দিয়ে একজন বিজ্ঞানী হলেও পরে দেশ গড়ার কাজে ব্রত হয়েছিলেন। তিনি 'ইসরো' এবং 'ডিআরডিও' তে দীর্ঘদিন কাজ করেন।বর্তমানে প্রতিষ্ঠান দুইটির সফলতার জন্য তার অবদানকেই বেশি গণ্য করা হয়। তিনি ভারতের 'মিসাইল ম্যান' নামে খ্যাত। চলুন জেনে নেওয়া যাক তার সম্পর্ক এ অজানা বিষয়গুলো।
  • রাষ্ট্রপতির চেয়ার প্ৰত্যাখান: রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০১৩ সালে এপিজে আবদুল কালামকে আইআইটি বারানসীতে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত করা হয়। মঞ্চের মধ্যে পাঁচটি চেয়ার ছিল এবং তার জন্য বরাদ্দকৃত চেয়ারটি ছিল অনেক বড় এবং মাঝখানে। এমন সম্মান পছন্দ হয়নি তার। ফলে তিনি ওই চেয়ারটি ছেড়ে দিয়ে সাধারণ চেয়ারে বসেন।
  • বিদ্যুৎহীন জায়গায় একসঙ্গে ৪০০ ছাত্রের ক্লাস নেন: ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর একটি স্কুলে ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু যখন তিনি ক্লাস নেওয়া শুরু করেন তখন হটাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে এতে অধৈর্য না হয়ে তিনি ১ ঘণ্টাব্যাপী ক্লাস নেন। এতে সকলে মুগ্ধ হন।
  • কোরআন ও গীতা পড়তেন: জম্মসূত্রে মুসলিম হলেও তিনি সকল ধর্মই মেনে চলতেন। এমনকি সরস্বতীর হাতে থাকা বিনা বাজাতেও পারদর্শী ছিলেন তিনি।
  • দরদী মনোভাব: তিনি ডিআরডিও র চেয়ারম্যান থাকাকালীন লক্ষ্য করেন, প্রতিষ্ঠানটির বাইরের উঁচু দেয়ালে অধিক সুরক্ষার জন্য বাঙ্গা কাচ দেওয়া হয়। তিনি তা সরিয়ে নিতে বলেন কারণ পাখি ঐখানে বসলে আঘাত লাগতে পারে।
  • ক্ষমা প্রদানের ক্ষেত্রে কঠোরতা: ভারতের কোনো রাষ্ট্রপতিকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ২১ জন আসামির মধ্যে ২০ জনকে ক্ষমা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাউকে ক্ষমা প্রদান করেন নি।
  • আন্তর্জাতিক সম্মান: ২০০৫ সালের ২৬ শে মে কে তার আগমনকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য সেই দিনটিকে সুইজারল্যান্ড সরকার 'বিজ্ঞান দিবস' ঘোষণা করে। তার ৭৯ তম জন্মদিন কে বিশ্বজুড়ে 'ছাত্র দিবস' হিসেবে পালন করে জাতিসংঘ। এছাড়াও তিনি বিশ্বের প্রায় ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পান।
  • সকল অর্থ দান: যখন তিনি জানতে পারেন যে, রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরও দেখভালের দায়িত্ব সরকারের, তখন তিনি তার সব সঞ্চয় ও আয় নিজের গড়া 'পিইউআরএ' ট্রাস্টে দান করেন।

Comments

Popular posts from this blog

মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ

ইজরাইলি পতাকার অর্থ কি?

কুষ্টিয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক সভাপতি রক্তাক্ত