বড় আকারের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
প্রাথমিকে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আসছে। বড় আকারের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নিয়োগের ব্যাপারে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আসছে
প্রাথমিকে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আসছে। বড় আকারের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নিয়োগের ব্যাপারে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় ২৬ হাজার প্রাক-প্রাথমিক ও ১৪ হাজার সহকারী মিলে মোট ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। বর্তমানে চলমান মহামারি করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই আগামী সেপ্টেম্বরে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। একই সঙ্গে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। সব মিলিয়ে একত্রে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিপিই) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ স্তরের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তার সঙ্গে দেশের সব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আগামী সেপ্টেম্বরে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, একই সাথে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৪০ হাজারের মতো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে প্রাক-প্রাথমিকের জন্য যারা নিয়োগ পাবেন তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, একই সাথে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৪০ হাজারের মতো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে প্রাক-প্রাথমিকের জন্য যারা নিয়োগ পাবেন তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে মহাপরিচালক বলেন, অনেকের মধ্যেই একটি প্রবণতা দেখা যায় ইন্টারনেটে দোকানে দিয়ে আবেদন করার আবার। অনেকেই পরিচিত অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নিয়ে আবেদন করতে চান। তাই করোনাভাইরাস বাড়ির মধ্যে আবেদন গ্রহণ শুরু করছি না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই এসব পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
এদিকে সম্প্রতি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সময়সীমা এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর করা হয়। এ স্তরে ভর্তির জন্য বসয়সীমা পাঁচ বছরের পরিবর্তে চার বছর অনুমোদন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিকের সময়সীমা দুই বছর ও ভর্তির ক্ষেত্রে চার বছর বয়সসীমা করে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
এ স্তরে অর্জিত সাফল্য ও অভিজ্ঞতা অর্জনে চার বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য দুই বছর মেয়াদি করতে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ স্তরে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে
Comments
Post a Comment